বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজার শহরের লিংকরোডে চার নারীর উপর হামলার চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৮জুন বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে অতর্কিত এই হামলায় আহত হয়েছেন চার নারী। অভিযোগ উঠেছে শ্লীলতাহানিরও।
এসময় হামলায় গুরুতর আহত হন- হাসিনা আক্তার, কুলসুমা খাতুন, লতিফা আক্তার এবং হালিমা খাতুন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা গা ঢাকা দেয় এবং উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত হাসিনাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহতরা অভিযোগ করেছেন, হামলাকারীরা কুদরত উল্লাহর লোকজন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কুদরত উল্লাহ।
উক্ত হামলায় অংশ নেন বলে জানান, খাইরুল আমিন, বেলায়েত হোসেন মুন্না, দেলোয়ার হোসেন, সালাউদ্দিন, আলাউদ্দিন, মামুনুর রশিদ, মোবারক হোসেন, শামসুল আলম, নাজির হোসেন প্রকাশ টঙ্কি নাজির, ইসমাইল এবং রনি প্রকাশ মহেশখালী রনি।
হামলায় আহত হাসিনা জানান- একটি ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ও মামলার জের ধরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। মূলত মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতে তারা নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছে। গতকাল রাতের হামলা এরই ধারাবাহিকতা।
জানা যায়- গত মাস দুয়েক পূর্বে হাসিনার মাদ্রাসা পড়ুয়া কিশোরী মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে ধর্ষণের চেষ্টা করে মেম্বার কুদরত উল্লাহর ভাগিনা ইরফান এবং তার অপরাপর কতিপয় রোহিঙ্গা দুস্কৃতিকারী। এরপরে হাসিনা উক্ত ঘটনার প্রতিকার চেয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ কুদরত মেম্বারের ভাগিনা ইরফান ও রোহিঙ্গা ছানা উল্লাহকে গ্রেফতার করে। তারা এখন জেল হাজতে আছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কুদরত উল্লাহ নিজেকে নির্দোষ দাবী করেন এবং উক্ত ঘটনার সাথে তিনি সংশ্লিষ্ট নন বলে দাবী করেন। পাশাপাশি যারা এঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিজেই সহায়তা করবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার পরিদর্শক বলেন বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।